flexile-white-logo

লোটাস স্পেশাল রিকশা টায়ার

লোটাস স্পেশাল রিকশা টায়ারের রাফ টাফ ব্লক প্যাটার্ন আকারে ট্রেড ডিজাইন করা হয়েছে। এই ট্রেড প্যাটার্নটি বাংলাদেশ ও ভারতে “ট্র্যাক্টর বিড ডিজাইন” নামে অধিক পরিচিত। এই টায়ারটি অতিরিক্ত ওজনবাহী ক্ষমতার কথা চিন্তা করে ডিজাইন করা হয়েছে।  ভারী মালামাল বহনের জন্য আদর্শ টায়ারে পরিণত করার জন্য ডিজাইনের সাথে সাথে বিশেষ ফর্মুলা ব্যবহার করা হয়েছে। এটি সমস্ত রাস্তায় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। অতিরিক্ত ওজন অতি সহজে বহন করতে পারে কারণ এর ট্রেড ব্লকের আকার তুলনামূলক ভাবে বেশি।

তার জন্য লোটাস স্পেশাল রিকশা টায়ারের ট্রেড ডিজাইন টায়ারটির দীর্ঘস্থায়িত্বের নিশ্চয়তা দেয়। তাছাড়া টায়ারটির ট্রেড ব্লকের আকৃতি টায়ারটিকে শহরের ভাঙা রাস্তা, বা গ্রামঞ্চলের আধাপাকা বা অমসৃণ কাঁচা রাস্তা, ইটের বা পাথরের গুঁড়ার পথ, ঢালাইবিহীন ইটের রাস্তা,  ইত্যাদি রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অতি সহজে মোকাবিলা করতে পারে এবং রাস্তায় পড়ে থাকা ইট পাথরের গুঁড়া, পেরেক, ভাঙা কাঁচের টুকরা, কাটা রড ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

স্বাভাবিক আবহাওয়ায় একজন সুস্থ সবল মানুষ, প্রতি ঘন্টায় গড়ে ১০-১২ কিমি (প্রায় ৬.৫ থেকে সাড়ে ৭.৫ মাইল) গতিবেগে প্যাডেল চালিত রিক্সা চালাতে পারে। শারীরিক শ্রমনির্ভরতার কারণে, রিক্সা ও ভ্যানের দৈনিক কার্যঘন্টাও সীমিত। রিক্সায় ভারী মালামাল বহনের ক্ষেত্রেও, মানুষের শারীরিক সীমাবদ্ধতা  আছে। ব্যাটারী চালিত রিকশা ও ভ্যানের  আবির্ভাবে রিকশাগুলোর কার্যক্ষমতা ও গতি বহুগুনে বেড়ে গেছে। প্যাডেল/সাইকেল রিক্সা-ভ্যানের, প্রতি ঘন্টায় ১০-১২ কিমি থেকে বেড়ে ৪০/৫০ কিমি বা আরো বেশি গতিবেগ হয়েছে। ওজন বহন ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাপক এই পরিবর্তন হলেও, রিকশা ও সাইকেল ভ্যানের আকৃতি, কাঠামো ইত্যাদি একই রয়ে গেছে, চাকার মাপও একই। অতিরিক্ত চাপের সর্বোচ্চ প্রভাব পড়ে টায়ারে। অতীতে টায়ারের গুনগত মান বৃদ্ধি ও দীর্ঘস্থায়িত্বর জন্য উৎপাদনের প্রযুক্তি ও কাঁচামাল উন্নত করাই যথেষ্ট ছিল। তবে, রিক্সা ও ভ্যানে মোটর/ব্যাটারির ব্যবহার শুরু হবার পরে, রিক্সা টায়ারের প্রযুক্তি ও কাঁচামালের সাথে সাথে, টায়ারের ডিজাইনেও পরিবর্তন আনা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। রূপসা টায়ার্স উতপাদিত পণ্যের তালিকায় তাই যুক্ত করেছে লোটাস স্পেশাল রিকশা টায়ার।