অ্যামাজন মোটর রিকশা টায়ার
অ্যামাজন মোটর রিকশা টায়ারের ট্রেড ডিজাইনটি ছোট ছোট তীর আকৃতির ব্লক সমৃদ্ধ। এই ডিজাইনের প্রধান সুবিধা হল এটি চালানোর জন্য কম শক্তি ব্যায় হয় এবং টায়ারের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে। দ্রুতগতিতে চলার সময়, বিশেষ করে বাঁক নেয়ার সময়, রিকশা বা ভ্যানের নিয়ন্ত্রণ সহায়ক হিসেবে এই ডিজাইনটি অতুলনীয়। তীর-আকৃতির (বা ইংরেজি ভি-আকৃতির) কারণে, কাঁদাযুক্ত এবং বৃষ্টিতে ভেজা রাস্তায় টায়ারের সামনের/উপরের অংশ থেকে পানি এবং কাদা অপসারণে এটি সবচেয়ে কার্যকর। এই প্যাটার্ন ডিজাইন, পানি দ্রুত অপসারণে সাহায্য করে। এছাড়া উন্নত রাবার ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে এই টায়ারটির পারফর্মেন্স দীর্ঘদিন অটুট থাকে। সকল ঋতু ও সবধরনের রাস্তার জন্য উপযোগী হলেও, অ্যামাজন মোটর রিক্সার টায়ার শীতের শিশিরযুক্ত, বর্ষার পানিজমা বা কাদাযুক্ত রাস্তার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
অনুকূল পরিস্থিতি এবং স্বাভাবিক আবহাওয়ায় একজন সুস্থ সবল প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ শারীরিক শ্রম দিয়ে গড়ে ১০ থেকে ১২ কিমি গতিবেগে রিক্সা ও ভ্যান চালাতে সক্ষম। মানুষের শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণে, মানুষ একটি নির্দিষ্ট ওজন পর্যন্ত রিক্সা বা ভ্যান চালাতে পারে। শারীরিক শ্রম দিয়ে বিরতিহীনভাবে রিকশা ও ভ্যান চালানো সম্ভব হয় না। এ সমস্ত প্রতিবন্ধকতা বা সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে, রিকশা ও ভ্যান তৈরি করা হয়ে থাকে। প্যাডেল চালিত রিকশা ও ভ্যানে মোটর সংযুক্ত করে, তা ইলেকট্রিক চার্জ সমৃদ্ধ ব্যাটারীর মাধ্যমে চালানো হয়। এতে রিকশা ও ভ্যানের কার্যক্ষমতা বহুগুনে বেড়ে যায়। প্রতি ঘন্টায় ১০-১২ কিমি গতিবেগে চলা রিকশা এবং ভ্যানের গতিবেগ বেড়ে ৪০/৫০ কিমি হয়েছে। এছাড়া শারীরিক পরিশ্রম খুবই কম হবার কারণে ব্যাটারি/মোটরচালিত রিক্সার ওজন বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিরতিহীন ঘন্টার পর ঘন্টা চালানো সম্ভব হয়েছে। অতিরিক্ত এই কার্যক্ষতার চাপ সবচেয়ে বেশি পড়ে মোটরচালিত রিক্সা ও ভ্যানের টায়ারের উপর। এসব কারণে রিক্সা টায়ারের প্রযুক্তি ও কাঁচামালের সাথে সাথে, টায়ারের ডিজাইনে পরিবর্তন এনে, উৎপাদন করা হচ্ছে অ্যামাজন মোটর রিকশা টায়ার।